আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
বিশ্ব ব্যাপী স্মার্ট যোগে প্রবেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে চলছে (ইলেক্ট্রনিক্্র) ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম। বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ধারাবাহিকতায়, আর নয় এমআরপি হাতের কাছে ই-পাসপোর্ট স্লোগানে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট সেবা দিচ্ছে এক্সপার্ট সার্ভিস।
শুধু ই-পাসপোর্টই নয় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল সেবা মিলছে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’এ। তবে এক্সপার্ট সার্ভিসের স্মার্ট সেবার সার্বিক কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় সরাসরি হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এবং সিসিটিভির মাধ্যমে তা হাইকমিশন থেকে সরাসরি মনিটরিং করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রাজধানী কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানামুখী সেবা নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান বলেন, মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ায় ডিজিটাল বাংলাদেশ আরও বেশি সার্থক হয়েছে। প্রবাসীদের নিয়েই আমার কাজ। দূতাবাস সব সময় মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
এক্সপ্যাট সার্ভিসের পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রবাসে স্মার্ট বাংলাদেশের পরিচয় বহনে প্রথমেই দরকার স্মার্ট পাসপোর্ট। তাই আর দেরি নয়, এখনই ই-পাসপোর্ট করতে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সকল প্রবাসীদের আহবান জানিয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি আমাদের সকল রেমিট্যান্সযোদ্ধা প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহবানও জানান তিনি।
প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট সেবা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং পরিচালক অভিনেতা এসএম আরমান পারভেজ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সম্মার্ট সেবা দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ সরকারের সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত আউটসোর্সিং কোম্পানি ‘এক্সপ্যাট সার্ভিস মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে জালান চান সো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) প্রায় ১৪ হাজার বর্গফুট প্রশস্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিসে, যেখানে একইসঙ্গে সব সেবা যুক্ত রয়েছে। ৪৫টি কাউন্টারের মাধ্যমে চলছে এ সেবা।’ এমনকি ব্যাংক ড্রাফট থেকে শুরু করে ফর্ম পূরণ পর্যন্ত সব কাজে সহযোগিতা করছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।
সেবা গ্রহণকারী প্রবাসীদের প্রয়োজন হলে +৬০৩৯২১২০২৬৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং এক্সপ্যাট সার্ভিস দ্রুততম সময়ে প্রবাসীদের আন্তরিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে বলেও জানান আরমান পারভেজ।
এছাড়া, আউটসোর্সিং কোম্পানি ইসিএল রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাইরে একাধিক রাজ্যে, যেমন জহরবারু ও পেনাংয়ে হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে মোবাইল টিমের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে আসছে।
ই-পাসপোর্টের সরকারি ফি: ভিসা ক্যাটাগরি (সাধারণ শ্রমিক) ৪৮ পাতা ৫ বছর মেয়াদির জন্য ১৬৪ রিঙ্গিত, ১০ বছর মেয়াদির জন্য ২৭৩ রিঙ্গিত (ইএসকেএল সার্ভিস চার্জ বাবদ ৩২ রিঙ্গিত)। ভিসা ক্যাটাগরি (অন্যান্য) ৪৮ পাতা ৫ বছর মেয়াদির জন্য ৫৪৫ রিঙ্গিত ও ১০ বছর মোদির জন্য ৬৮১ রিঙ্গিত (ইএসকেএল সার্ভিস চার্জ বাবদ ৬০ রিঙ্গিত)।
‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’এ সেবা নিতে আসা কয়েকজন প্রবাসী জানান, উন্নত দেশের আদলে এ ধরনের ব্যবস্থা প্রবাসে সেবা সহজতর ও দ্রুততর করবে।
এ এ/
Discussion about this post