মহান আল্লাহপাক আমাদের জন্য যে সকল জিনিস দান করেছেন তার সবই আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা নিয়ামত স্বরুপ। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে ‘হেদায়েত’। কেউ কাউকে হেদায়েত করতে পারেন না। তবে হেদায়েত লাভের জন্য দোয়া করতে পারেন। ‘হেদায়েত’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে পথপ্রদর্শন। ইমাম রাগেব ইসফাহানি (রহ.) ‘মুফরাদাতুল কোরআনে’ হেদায়েত শব্দের সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কাউকে গন্তব্যস্থানের দিকে অনুগ্রহের সঙ্গে পথপ্রদর্শন করা।’
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু হুরায়রা (রা.)-এর মায়ের হেদায়েতের জন্য দোয়া করে বলেন, اللَّهُمَّ اهْدِ أُمَّ أَبِيْ هُرَيْرَةَ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাহদি উম্মা আবি হুরায়রা। (মুসলিম: ২৪৯১) (অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আবু হুরায়রার মাকে হেদায়েত দান করুন।
হেদায়েত লাভের কয়েকটি দোয়া আছে, যেগুলো আমল করলে সহজেই সঠিক পথ পাওয়া যায় —
এক. اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
উচ্চারণ: ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম। (সুরা ফাতিহা) (অর্থ: (হে আল্লাহ!) আমাদেরকে সরল পথ দেখান।)
দুই. اللَّهُمَّ إِنِي أَسْأَلُكَ الهُدَى، وَالتُّقَى، وَالعفَافَ، والغنَى
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াততুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা। (তিরমিজি) (অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সুপথ, আল্লাহভীতি, চরিত্রের নির্মলতা ও অভাব মুক্তির প্রার্থনা করছি।)
তিন. اللَّهُمَّ أَلْهِمْنِي رُشْدِي، وَأَعِذْنِي مِنْ شَرِّ نَفْسِي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আলহিমনি রুশদি, ওয়া আয়িজনি মিন শাররি নাফসি। (তিরমিজি) (অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়েত দান করুন এবং নফসের অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা করুন। )
চার. اللَّهُمَّ مُصَرِّفَ القُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ
উচ্চারণ: ইয়া মুসাররিফাল কুলুব সাররিফ কুলুবানা আলা তয়াতিকা। (মুসলিম) (অর্থ: হে হৃদয়সমূহের পরিবর্তনকারী! আমাদের হৃদয়গুলোকে আপনার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দিন।)
পাঁচ. رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
উচ্চারণ: রব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বাদা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রহমাতান, ইন্নাকা আন্তাল ওয়াহহাব। (সুরা আল ইমরান, আয়াত: ৮) (অর্থ: হে আমাদের রব! আপনি হেদায়েত করার পর আমাদের অন্তরসমূহ বাঁকা করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত দান করুন।)
এস আই/
Discussion about this post