সোমবার (২৯ জুলাই) একই মামলায় আসিফ মাহতাব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলামের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, শনিবার (২৮ জুলাই) রাত ১টার দিকে আসিফ মাহতাবকে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা পোস্টকে এ কথা জানান আসিফ মাহতাবের ছোট বোন নাফিসা তাসনিম।
তিনি বলেছিলেন, শনিবার দিবাগত রাত ১টার পর ১৫ জনের একটি দল আমাদের বাসায় আসেন। তাদের বেশিরভাগের শরীরে ডিবির পরিচয় সম্বলিত পোশাক ছিল। তবে, কেন আটক করা হচ্ছে, সে বিষয়ে তারা কিছু জানাননি। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আটকের চার ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন আসিফ মাহতাব। সে কারণে তিনি আটক হতে পারেন বলে ধারণা বোন নাফিসার।
আলোচিত এ শিক্ষক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনেও মাঠে ছিলেন। সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে আসিফ মাহতাব লেখেন, আপনারা জানেন অনেক মানুষকে কোনো ভ্যালিড কারণ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আপনারা এটাও জানেন আমি আপনাদের পাশে ১০০% ছিলাম, এখনো আছি। এই অপরাধের কারণে আমাকে যদি গ্রেপ্তার করা হয় কিংবা গুম করা হয় তাহলে আপনারা কি করবেন?
তিনি আরও লেখেন, না আমি ভয় পাচ্ছি না। যারা নিরাশ্রয় মানুষকে গুলি করে হত্যা করতে পারে, ওই কাপুরুষদেরকে ভয় পাব কেন? আমি মৃত্যুর জন্য সবসময় প্রস্তুত। সবারই মরতে হবে, এইটাই সত্য। কিন্তু আমি জনগণের মাইন্ডসেট বুঝতে চাই। এই উম্মাহ কি এক? নাকি এই উম্মাহ স্বার্থপর, বিভক্ত?
এদিকে, শনিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত ৪টার দিকে আরিফ সোহেলকে তার ভাড়া বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়। আরিফের ছোটবোন উম্মে খায়ের ঈদি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এস এম/
Discussion about this post