ইউরোপে অনিয়মিত ভাবে প্রবেশ করছে লাখো মানুষ। চলতি বছরের প্রথম দশমাসেই ৩ লাখ ৩১ হাজার ৬০০ মানুষ অনিয়মিত পথে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) প্রবেশ করেছে। ২০১৫ সাল থেকে এখন অবধি একই সময়ে এটাই সর্বোচ্চ অনিয়মিত প্রবেশ বলে জানিয়েছে ইইউ সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্স।
মূলত মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা থেকে আসা এই আশ্রয়প্রত্যাশীরা কোন কোন পথে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন সেই তথ্যও জানিয়েছে ফ্রন্টেক্স৷
শুধু অক্টোবর মাসেই ফ্রন্টেক্স অনিয়মিত প্রবেশের ৪৯ হাজার ছয়শটি চেষ্টা নথিভুক্ত করেছে৷ গতবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবেশের এই হার ১৮ শতাংশ বেশি৷
মরক্কো, সেনেগাল এবং পশ্চিম সাহার থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর অনিয়মিত পথটি ‘‘ওয়েস্ট আফ্রিকা রুট’’ হিসেবে পরিচিত৷ এই পথে আগমনের সংখ্যা ২০০৯ সালের পর প্রতিবছর দ্বিগুণ হারে বাড়তে বাড়তে চলতি বছর ২৭ হাজার সাতশতে পৌঁছেছে৷
তবে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আশ্রয়প্রার্থী লিবিয়া ও টিউনিশিয়া থেকে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে সিসিলি এবং মাল্টায় আসছেন৷ চলতি বছর এই পথে এক লাখ ৪৩ হাজার ছয়শ অনিয়মিত প্রবেশের চেষ্টা নথিভুক্ত করেছে ফ্রন্টেক্স৷
সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর এই পথে এটাই সর্বোচ্চ অনিয়মিত প্রবেশ৷
তবে, অক্টোবর মাসে এই অনিয়মিত পথে আগমনের হার আগের মাসের তুলনায় অর্ধেক বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি৷
‘‘সমুদ্রপথে ভয়াবহ ঝুঁকি রয়ে গেছে৷ ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) হিসেবে চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে দুই হাজার ৪৬৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন,’’ বলেছে ফ্রন্টেক্স৷
অনিয়মিত পথে ইউরোপে প্রবেশের পথ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘‘ওয়েস্ট বালকান রুট’’৷ এই পথে চলতি বছর এখন অবধি ৯৭ হাজার তিনশ মানুষ ইইউতে প্রবেশ করেছেন৷
গতবছর অবশ্য বলকান দেশগুলোর ভিসা নীতি আরও কড়া করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফ্রন্টেক্স
Discussion about this post