যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সামরিক জোট ন্যাটো মিত্ররা যদি ইউক্রেনকে দীর্ঘ-পাল্লার পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীরে হামলা চালাতে সহায়তা করে তাহলে জবাব দেবে মস্কো। এরই মধ্যে কীভাবে জবাব দেয়া যেতে পারে, তার বিভিন্ন উপায় নিয়ে কাজ করছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২৭ অক্টোবর) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসব কথা বলেছেন। খবর রয়টার্সের।
আড়াই বছর ধরে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংঘাত সৃষ্টি করেছে। রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই যুদ্ধ এখন সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের একটি বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়া। সেটি হলো তারা যদি ইউক্রেনকে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে গভীরে আঘাত করার অনুমতি দেয়, তাহলে সেটাকে বড় ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি হিসেবে বিবেচনা করবে মস্কো।
গত ১২ সেপ্টেম্বর পুতিন বলেছিলেন, এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য পশ্চিমাদের অনুমোদন মানে হবে ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে ন্যাটোর সদস্য দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সরাসরি অংশগ্রহণ। কারণ তখন ন্যাটোর সামরিক অবকাঠামো ও সেনা সদস্যরা ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ ও নিক্ষেপে সম্পৃক্ত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ঠিক কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা এখনই বলা মুশকিল। তবে মস্কো অবশ্যই উপযুক্তভাবে জবাব দেবে এবং বিভিন্ন বিকল্প বিবেচনা করা হচ্ছে।
রোববার রুশ রাষ্ট্রীয় টিভির শীর্ষ ক্রেমলিন প্রতিবেদক পাভেল জারুবিনকে পুতিন বলে, রাশিয়ার ভূখণ্ডে সম্ভাব্য দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাব সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বিভিন্ন ধরনের জবাবের বিষয়ে বলবে।
এ ইউ/
Discussion about this post