ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ দেয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন জোটের সদস্য দেশগুলোর নেতা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইইউ নেতারা এই অনুমতি দেন।
জোটের সদস্য দেশ হাঙ্গেরির আপত্তির পরও রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইইউভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচন চলবে।
আলোচনা শুরু হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে ইউক্রেনের আরও কয়েক বছর লাগবে। কিন্তু গতকালের সিদ্ধান্তের ফলে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৃষ্ট অচলাবস্থার অবসান হলো।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পশ্চিমা বিশ্বের আরও কাছাকাছি এল। যা ইউক্রেনকে মস্কোর নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হতে কৌশলগতভাবে সহায়তা করবে।
এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এল যখন, ইউক্রেনের বহুল আলোচিত পাল্টা আক্রমণ রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্ষরিক অর্থেই কোনো অগ্রগতি লাভে ব্যর্থ হয়েছে এবং দেশটির সবচেয়ে বড় সহায়তাদাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে তহবিল সংকটে ভুগছে।
এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিনে বৈঠকে নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়। ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনার বিষয়টি প্রস্তাব আকারে উত্থাপিত হলে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। পরে তিনি বৈঠক ছেড়ে চলে গেলে জোটের বাকি ২৬ সদস্য দেশ প্রস্তাবটিতে সম্মতি দেয়।
অরবানকে আলোচনার টেবিল ছেড়ে চলে যেতে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর শুলজ বলেন, সিদ্ধান্তটি ইউক্রেনের প্রতি ইইউয়ের সমর্থনের একটি শক্তিশালী লক্ষণ। বৈঠকে ইইউ নেতৃত্ব আরও একটি প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র মলদোভাকেও জোটের সঙ্গে যুক্ত করতে আলোচনা ও অন্য দেশ জর্জিয়াকে সদস্যপদ প্রার্থীর মর্যাদা দিতে সম্মত হন। নেতারা বসনিয়ায় রাজনৈতিক সংস্কারের পর দেশটির সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা শুরু করার কথাও জানান।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এটি ইউক্রেনের জন্য একটি বড় জয়। সমগ্র ইউরোপের জয়। এই জয় আমাদের উৎসাহিত করবে, অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের শক্তিশালী করবে।’
সূত্র: রয়টার্স
Discussion about this post