ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর রয়েছে নিজেদের মধ্যকার ‘শেনজেন এরিয়া’ বা সীমান্ত-মুক্ত অঞ্চল। বাধা-ধরা কোনো নিয়ম ছাড়াই চলাচল করা যায় এই অঞ্চলে। হোক সেটা স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথ। নির্দিষ্ট এই এলাকায় বর্তমানে ২৭টি দেশের প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ অবাধে যাতায়াত করতে পারেন। তবে মুক্ত সীমান্তে চলাচলের এই সুযোগ পেতে যুক্ত হচ্ছে আরও দুই দেশ।
গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া। ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ইউরোপের সীমান্তবিহীন শেনজেন ভ্রমণ অঞ্চলে আংশিকভাবে যোগ দেয় দেশগুলো। রাজনৈতিক চুক্তিটি রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়াকে শুধু আকাশ ও সমুদ্রপথে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। স্থল সীমান্তের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে আরও আলোচনার প্রয়োজন। তুর্কি এবং পশ্চিম বলকান রুটে দিয়ে ইউরোপে অনিয়মিত অভিবাসীদের আগমনের উদ্বেগের কারণে অস্ট্রিয়া দেশ দুটিকে শেনজেনে প্রবেশে বাধা দিচ্ছিল। অবশেষে আংশিকভাবে তাদের চুক্তিটিতে যুক্ত করা হয়। ইউরো নিউজের বরাতে খবর রয়টার্সের।
রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এ মুক্ত-সীমান্ত অঞ্চলে প্রবেশাধিকার চাইছিল। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী মার্সেল সিওলাকু বলেছেন, ‘তেরো বছর পর, রোমানিয়া অবশেষে শেনজেনে যোগ দেবে- আমাদের একটি রাজনৈতিক চুক্তি হয়েছে। নতুন বছরের মার্চ পর্যন্ত, রোমানিয়ানরা আকাশ ও সমুদ্রপথে শেনজেন এলাকার সুবিধাগুলো থেকে উপকৃত হতে পারেন। আমি এও নিশ্চিত যে, ২০২৪ সালে আমরা স্থল সীমান্তে আলোচনায়ও একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাব।’ বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোলাই ডেনকভ বলেন একটি ‘জটিল আলোচনার’ পরে চুক্তিটি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘খুব বেশি অগ্রগতি ছাড়াই ১২ বছর পর, আজ আমরা বুলগেরিয়ার এই অবিসংবাদিত সাফল্যের জন্য নিজেদের অভিনন্দন জানাতে পারি।’
ইউরোপীয় কমিশন ২০১১ সাল থেকে উভয় দেশকে শেনজেন যোগদানের জন্য প্রস্তুত বলে বিবেচনা করেছিল, কিন্তু ইইউ রাজ্যগুলো আইনের শাসন এবং অভিবাসন বৃদ্ধির আশঙ্কায় চুক্তিটি অবরুদ্ধ করেছিল।
এ জেড কে/
Discussion about this post