কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার চন্ডিবের গ্রামের ইসমাইল মিয়া জীবিকার তাগিদে ২০০০ ইং সালে বসবাস শুরু করেন ইতালিতে। কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে পরিবার নিয়ে বসবাস করার লক্ষ্যে ২০০৬ ইং সালে ২ ছেলে ও স্ত্রী কে নিয়ে ইতালির ত্রেভিজো শহরে বসবাস শুরু করেন। তখন বড় ছেলে মুরাদ মিয়ার বয়স ১০ ও ছোট ছেলে সায়ক মিয়ার এর বয়স মাত্র ৮ বছর। একা উপার্জনের সংসারে ইতালিতে দুই সন্তান কে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। বড় ছেলে মুরাদ অর্নাস শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন। পরিবারের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সায়ক মিয়া পাদোভা বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য প্রকৌশল বিভাগে বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং এ ( তিন ) ৩ বছর ও বায়োইন্জিনিয়ারিং এ দুই বছরের কোর্স শেষ করে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক ভাবে চলতি বছরে বেশ কয়েক জন পরিক্ষায় উত্তির্ন শিক্ষার্থীদের মাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে পাদোভা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাটিফিকেট প্রদান করেন। সায়ক মিয়া জানান, তথ্য প্রকৌশল বিভাগে বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং ও বায়োইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে ভেনেতো বিভাগে তিনিই প্রথম পাশ করা বাংলাদেশী শিক্ষার্থী । সায়ক মিয়ার এই কৃতিত্বে গর্বিত পরিবার ও আত্মীয় স্বজন ছাড়াও ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশীরা। ইতালি প্রবাসী অনেক বাংলাদেশীরা মনে করেন ইতালির প্রশাসন সহ সরকারী দফতরে পর্যায়ক্রমে ইতালির বেড়ে ওঠা বিভিন্ন শহরে বসবাসরত কৃতি শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জল করবে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাকির হোসেন সুমন , ব্যাুরো প্রধান ইউরোপ :
এস এম/
Discussion about this post