কিশোরগঞ্জে ইফতার খেতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ মার্চ) ইফতারের পর এ ঘটনা ঘটে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শরিফুল ইসলাম (৩৫) মহিনন্দ ইউনিয়নের আগপাড়া গ্রামের মজলু মিয়ার ছেলে। তিনি মহিনন্দ বাজারে একটি সেলুন পরিচালনা করতেন।
পুলিশ জানায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের আবদুর রাশিদের ছেলে এখলাস মিয়ার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল একই এলাকার আবু সালেহ ও তার স্বজনদের। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নতুন করে কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জের ধরে এদিন ইফতারের পর প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এখলাস মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় এখলাস মিয়া ও তার ফুফাতো ভাই শরিফুল ইসলামসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের কয়েকজনকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক শরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্বজনরা জানান, শরিফুল ইসলাম তার মামার বাড়িতে ইফতারের দাওয়াত খেতে গেয়েছিলেন। কিন্তু ইফতার খেতে গিয়ে হামলার শিকার হন। সেখান থেকে তাকে ফিরতে হলো লাশ হয়ে। তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন— এখলাস মিয়া, রাজন, ইদ্রিস মিয়া, আফসর আলী ও তানিয়া সুবর্ণা।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় শরিফুল ইসলাম নিহত হন। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ইউ/
Discussion about this post