ইসলামাবাদের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি)পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান, তার স্ত্রী বুশরা বিবি, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গন্ডাপুর এবং আরও ৯৩ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে সম্প্রতি তাঁর দল পিটিআইয়ের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সোমবার (২ ডিসেম্বর) এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
ইমরান খান এক বছরের বেশি সময় ধরে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলা রয়েছে যেগুলোতে এখনও তিনি জামিন পাননি। এছাড়া তাকে আরও ৭টি নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার ইমরান খানকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে নতুন সাতটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনায় দেশটির বিভিন্ন থানায় ইমরান খান ও পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের আসামি করে এসব মামলা হয়েছে।
ইমরান খানের ‘শেষ ডাক’ আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত ২৪ নভেম্বর রাজধানী ইসলামাবাদে বিক্ষোভ শুরু করে তার সমর্থক ও পিটিআইয়ের কর্মীরা। কিন্তু গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর রেড জোনে পিটিআই কর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব ও সমর্থকরা দ্রুত পিছু হটেন।
তিন দিনের এই বিক্ষোভে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য এবং তিনজন রেঞ্জার্স কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা দ্রুতগামী একটি গাড়ির ধাক্কায় নিহত হন বলে জানা গেছে। পিটিআই কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের ফলে মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি দাবি চলছে।
পরবর্তী অভিযানে বহু দলীয় কর্মী গ্রেফতার হন এবং একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা কোহসার থানায় ২৬ নভেম্বর থানার স্টেশন হাউজ অফিসার (এসএইচও) মোহাম্মদ ইমরানের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়।
পুলিশ মামলায় ৯৬ জন সন্দেহভাজনের একটি তালিকা জমা দেয়, যাতে ইমরান, বুশরা বিবি, মুখ্যমন্ত্রী গন্ডাপুর, সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি, জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর, জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব এবং আরও অনেক নেতার নাম রয়েছে।
শুনানিতে এটিসি বিচারক তাহির আব্বাস সিপরা পুলিশের আবেদনে সাড়া দিয়ে এই ৯৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, পিটিআই নেতারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আক্রমণ করেন এবং তাদের বিক্ষোভে সরকারি কর্মচারীদের ব্যবহার করেন। বিক্ষোভকারীদের কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে আটকা পড়েন এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়।
এ ইউ/
Discussion about this post