যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের ওপর তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কমান্ড সেন্টারে একের পর এক মার্কিন যুদ্ধবিমানের আঘাতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার (১৫ মার্চ) শুরু হওয়া এই হামলায় কয়েক দিন, এমনকি কয়েক সপ্তাহও চলতে পারে বলে একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
হুতি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছে।
এছাড়া গোষ্ঠীটি সমর্থিত আল-মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় সাদা প্রদেশে মার্কিন হামলায় শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুতিদের লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় ‘নরক বৃষ্টির’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
হুতিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইরানকেও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সহায়তা দেয়া শিগগির বন্ধ করতে তেহরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প তেহরানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয় ‘আমেরিকা তোমাকে সম্পূর্ণ জবাবদিহির আওতায় আনবে। এটা কিন্তু তোমাদের জন্য ভালো হবে না।’
এদিকে হুতি রাজনৈতিক ব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমেরিকার এই কাপুরুষোচিত আগ্রাসন আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নীতিকে পরিবর্তন করবে না।’
তারা আরও জানিয়েছে, ‘এই হামলার পাল্টা জবাব দেয়া হবে এবং ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো ধরনের সংঘাতের জন্য প্রস্তুত।’
এর আগে হুতিরা ঘোষণা দিয়েছিল, ইসরাইলি জাহাজ লক্ষ্য করে নতুন করে হামলা চালাবে তারা। তবে সর্বশেষ এ মার্কিন হামলার পর এখন পর্যন্ত হুতিদের কোনো পাল্টা আক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ইউ/
Discussion about this post