ইরান খুব শিগগিরই থামছে না—এখন তেহরানের দাপট হারে হারে টের পাচ্ছে তেলআবিব। স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, সামনে আরও বহু বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত আসতে যাচ্ছে। ইসরায়েলের অনেক কিছুই উল্টে-পাল্টে যেতে পারে, এমনকি আশ্রয় নেয়ার জায়গাও আর অবশিষ্ট নাও থাকতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে ইসরায়েল সরকার শুক্রবার একটি কথিত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং হোম ফ্রন্ট কমান্ডের একটি জরুরি পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়েছে।
এই পরিকল্পনার আওতায় সারা দেশে ৫০০টি সরকারি বোমা আশ্রয় কেন্দ্র সংস্কার করা হবে এবং ১০০০টি মোবাইল বোমা শেল্টার (অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র) রাস্তার পাশে বসানো হবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির আলোকে সরকার টেলিফোন ভোটের মাধ্যমে হোম ফ্রন্ট প্রতিরক্ষা জোরদারে এ পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, যেসব ৫০০টি আশ্রয়কেন্দ্র সংস্কার করা হবে, তার বেশিরভাগই মধ্য ইসরায়েলে অবস্থিত। গত সপ্তাহে এই অঞ্চলটি ইরানের একাধিক হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল। অন্যদিকে, ১০০০টি মোবাইল বা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বসানো হবে দেশের বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে, যেগুলোকে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মধ্যেই ইসরায়েলের হাইফা শহরে ইরানের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে অন্তত ২৩ জন আহত হন। একই সময়ে কার্মিয়াল এলাকায় আতঙ্কে এক নারী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ছবিতে দেখা গেছে, হাইফার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা ছুটে যাচ্ছেন ঘটনাস্থলে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইরান প্রায় ৪৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০০০টির মতো ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ছুঁড়েছে।
ইসরায়েলি স্বাস্থ্য দপ্তর এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ইরানের হামলায় ইসরায়েলে ২৪ জন নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবাসিক ভবন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি হাসপাতাল। এর ফলে বিপুল পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে দেশটি।
এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয় পেতে পারেন। বিশেষ করে যেসব এলাকায় হামলার ঝুঁকি বেশি, সেসব অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
সূত্রঃ https://youtu.be/Q9yZDczK-5g?si=HWOAWm00NYa9DGgi
এম এইচ/
Discussion about this post