মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তির দেশ ইরান। দেশটিকে কোনঠাসা করে রাখতে দশকের পর দশক ধরে দেশটির ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে আমেরিকা। কিন্তু সব বিপত্তি কাটিয়ে সমরাস্ত্রে চমক দেখিয়ে যাচ্ছে তেহরান। আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে উপসাগরীয় দেশটির তৈরি যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধেও। রাশিয়াকে সরবরাহ করেছে অত্যাধুনিক সামরিক ড্রোন। এবার এর প্রতিদানও দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মিত্র ইরানের হাতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রশাসন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার তৈরি সুখোই সু–৩৫ যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার ইরানের বিমান বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এ ধরনের কেনাকাটার চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ইরানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
বলা হয়, ইরানের বিমানবাহিনীতে নামমাত্র কয়েকটি যুদ্ধবিমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রাশিয়ার তৈরি যুদ্ধবিমান ও যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো মডেলের কিছু বিমান রয়েছে। যেগুলো ইসলামী বিপ্লবের আগেকার। কিন্তু রাশিয়ার অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান হেলিকপ্টার ইরানের বিমান বাহিনীর দাপট বাড়িয়ে দিবে।
ইরানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী মেহদি ফারাহি বলেন, দেশটির সেনাবাহিনীর কমবেট ইউনিটে সুখোই সু–৩৫ যুদ্ধবিমান, মিল মি–২৮ অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও ইয়াক–১৩০ মডেলের কয়েকটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যুক্ত করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে।
তবে সংবাদ সংস্থা তাসনিম, তাদের প্রতিবেদনে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ ধরনের চুক্তি হয়েছে বলে কোনো ধরনের তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি। ২০১৮ সালে ইরান নিজেদের বিমানবাহিনীতে ব্যবহার করার জন্য নিজেদের নকশায় কাউসার নামে যুদ্ধবিমান তৈরি করতে শুরু করে।
এদিকে, সামরিক শক্তিতে দিন দিন ইরানের সক্ষমতা বাড়তে থাকায় উদ্বেগে পড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার আঞ্চলিক মিত্র ইসরায়েল। হরমুজ প্রণালীতে মার্কিন জাহাজের জন্য মূর্তমান আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে ইরানের নৌবাহিনী। অন্যদিকে ইসরায়েলের জন্য অস্তিত্বের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তেহরান।
চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ইরানের সক্ষমতাকে জানান দিয়েছে। তেহরান যদিও সরাসরি তেল আবিবের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হয়নি, তবে মদদপুষ্ট গোষ্ঠী দিয়ে ব্যস্ত রাখছে নেতানিয়াহুর দেশকে।
Discussion about this post