ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। শনিবার (১৪ জুন) মধ্যরাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত ইসরায়েলি ভূখণ্ডে একের পর এক মিসাইল আঘাত হানে। এ ঘটনায় ইসরায়েলিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আল-জাজিরা বলছে, হাইফা ও তেল আবিব শহরসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে এ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ২০০। এছাড়া বাত ইয়াম শহরের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর ইসরায়েলের একটি ভবনের ৩৫ জন নিখোঁজের মধ্য থেকে ৭ জন এখনও নিখোঁজ আছেন, বাকিদের উদ্ধার করা হয়েছে।
রাতে চালানো হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হাইফায়। ইরানি মিসাইল হামলায় হাইফার পূর্বে তামরা শহরের একটি জ্বালানিকেন্দ্রে আগুন ধরে যায়। মূলত ইসরায়েলের বিভিন্ন জ্বালানিকেন্দ্র, বিমানবন্দর এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।
ইরান বলছে, হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হাইফার একটি জ্বালানি কেন্দ্র। ধ্বংস হয়েছে জ্বালানি সংরক্ষণ কাঠামোর বেশিরভাগ অংশই।
ইরান অবশ্য ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিল। কিন্তু তারপরও ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইলের একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েল।
এর আগে, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র লক্ষ্য করে হামলা করে ইসরাইল। এ ছাড়াও বন্দর আব্বাস লক্ষ্য করে হামলা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শাহরান তেল মজুত কেন্দ্রের। এ কেন্দ্র থেকেই জ্বালানি সরবরাহ করা হয় ইরানের রাজধানী তেহরানে। ইরানের প্রতিরক্ষা দপ্তরও ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়।
এম এইচ/
Discussion about this post