সাম্প্রতিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তেহরানের সামর্থ্যকে ইসরাইল খাটো করে দেখেছে বলে মত অনেক বিশ্লেষকের। এবার যেন সেই কথারই প্রমাণ মিললো। কারণ, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন প্রতিহত করতে ইসরাইল বেশ কয়েকটি দেশের কাছে সাহায্য চেয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইসরাইলি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের (কেএএন) বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
কেএএন জানিয়েছে, ‘ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইল অভিমুখে ছোড়া ইরানি ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার অনুরোধ করেছে এবং অনুরোধটি ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য উভয়ের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।’
সম্প্রচারমাধ্যমটি নিশ্চিত করেছে যে, যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যেই তেল আবিবের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে এবং সহায়তা দিচ্ছে।
ইরানের ‘ট্রু প্রমিজ ১ ওয়ান’ এবং ‘ট্রু প্রমিজ ২’ অভিযানের কথা উল্লেখ করে এক ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে অতীতের দুটি সংঘর্ষের সময়ও ব্রিটেন হস্তক্ষেপ করেছিল।
এদিকে কেএএন একজন ফরাসি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ফ্রান্স ইসরাইলের সহায়তার অনুরোধ গ্রহণ করতে এখনো ‘দ্বিধাগ্রস্ত’।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ট্রু প্রমিজ ১’ এবং ‘ট্রু প্রমিজ ২’-এর সময় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলায় ইসরাইলকে সহায়তা করার জন্য পূর্বে একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ইরান-ইসরাইল সংঘাতের মধ্যেই সোমবার (১৬ জুন) সকালে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস নিমিৎজ’ দক্ষিণ চীন সাগর ছেড়ে পশ্চিম দিকে যাত্রা শুরু করেছে। জাহাজ ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট মেরিন ট্র্যাফিক এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদন মতে, এই সপ্তাহের শেষ দিকে রনতরীটির ভিয়েতনামের দানাং শহর পরিদর্শনের কথা ছিল। কিন্তু একজন কূটনীতিক-সহ দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ২০ জুনের জন্য নির্ধারিত একটি আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা বাতিল করা হয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, হ্যানয়ের মার্কিন দূতাবাস তাকে ‘একটি জরুরি অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তার’ কারণে ওই অনুষ্ঠান বাতিলের কথা জানিয়েছে। তবে রয়টার্স এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করলেও দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের (ইউএস প্যাসিফিক ফ্লিট) কমান্ডারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ‘নিয়মিত উপস্থিতির অংশ হিসেবে’ নিমিৎজ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ গত সপ্তাহে দক্ষিণ সাগরে সমুদ্র নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনা করে।
মেরিন ট্র্যাফিকের তথ্য থেকে দেখা গেছে, সোমবার সকালে রণতরীটি পশ্চিমে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, যেখানে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত তীব্রতর হচ্ছে।
এম এইচ/
Discussion about this post