মার্কিন রাজনীতিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রভাব বাড়ছে। তাঁকে ভাবা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। এরইমধ্যে ডেমোক্র্যাটরা তো বটেই, অনেক রিপাবলিকান পর্যন্ত মাস্ককে বলছেন ‘প্রেসিডেন্ট’। আর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলছেন ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’। স্থানীয় সময় রোববার মাস্কের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প।
অ্যারিজোনায় এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাকে বলতে পারি, তিনি ( মাস্ক) প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন না। জানেন কেন তিনি পারবেন না? কারণ তাঁর জন্ম হয়নি এই দেশে।’
ইলন মাস্কের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, দেশটির একজন প্রেসিডেন্টকে আমেরিকাতেই জন্ম নিতে হবে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সরকারি অর্থায়ন বিল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সদ্যই তৈরি হওয়া অচলাবস্থার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ট্রেন্ড হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট মাস্ক’ শব্দটি।
রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন বিলটি গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে পারেনি। সেকারণে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া, অর্থাৎ, ‘শাটডাউন’ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। দেশকে এই হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা ছিল মাস্কের।
২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় সরকারের খরচ চালানোর জন্য রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের সম্মতিতে আনা ওই অন্তর্বর্তী বিলে বাগড়া দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। বিলটিতে খুবই ‘ব্যয়বহুল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে’ বলে স্যোশাল মিডিয়া এক্স- এ প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
বিলটি যাতে পাস না হয় সেজন্য তিনি কংগ্রেস সদস্যদেরকে হুমকিও দিয়েছিলেন। হাউজ এবং সিনেটের যে সদস্যরা বিলের পক্ষে ভোট দেবেন, তাদেরকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে মাস্ক হুমকি দেন।
ট্রাম্প প্রথমে বিলটিতে রাজি থাকলেও, মাস্কের ঘোর আপত্তির পর তার সুরেই কথা বলেন ট্রাম্পও। এমন পরিস্থিতিতে মাস্ককেই বেশি ক্ষমতাশালী ভাবতে শুরু করেছেন অনেকে। তাই ট্রাম্পের বদলে এখন মাস্ককেই ‘প্রেসিডেন্ট’ বলে বিদ্রুপ করছেন কংগ্রেস সদস্যরা। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটরা মাস্ককে নিয়ে ব্যঙ্গ করে নানা মন্তব্য করছেন।
এম এইচ/
Discussion about this post