ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলি সরকার এবং তাদের সহযোগী মিত্রদের বিরুদ্ধে ইসলামি দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার (১০ মে) তেহরানে হাজার হাজার শ্রমিকের উপস্থিতিতে এক সমাবেশে তিনি বলেন, গাজা এবং সমগ্র ফিলিস্তিনে শাসকগোষ্ঠীর নৃশংসতা উপেক্ষা করা যাবে না; তাই সমগ্র বিশ্বের উচিত তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
খামেনি বলেন, কিছু মন্তব্য ভিন্ন ইঙ্গিত দেওয়ার জন্য করা হয়েছে, বাস্তবতা হলো নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতি এবং গাজার বাসিন্দারা কেবল ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থারই নয়, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনেরও মুখোমুখি হচ্ছে।
মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে এই বিভ্রান্তি এড়াতে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন গুজব এবং নতুন নতুন বিষয় এবং অপ্রাসঙ্গিক, অর্থহীন কথাবার্তার মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিন সমস্যা থেকে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
আয়াতুল্লাহ খামেনি আশা প্রকাশ করেন, আল্লাহর কৃপায় ফিলিস্তিন ইসরায়েলি দখলদারদের ওপর জয়লাভ করবে এবং ইরানি জাতি, অন্যান্য বিশ্বস্ত জাতিগুলোর সঙ্গে হানাদার ও দখলদারদের ওপর ফিলিস্তিনের বিজয়ের দিনটি প্রত্যক্ষ করবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মতে, ‘শয়তান’ কিছু সময়ের জন্য আবির্ভূত হতে পারে, কিন্তু নিঃসন্দেহে তারা অদৃশ্য হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সিরিয়া এবং অন্যান্য স্থানে প্রতারণামূলক উপস্থিতি এবং অগ্রগতি শক্তির লক্ষণ নয়; বরং তারা বৃহত্তর দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।
বক্তব্যের অন্য অংশে ইরানের নেতা কর্তৃপক্ষকে এমন একটি বিস্তৃত কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান যা, শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তা উভয়ের জন্যই উপকারী। তিনি জোর দিয়ে বলেন, উৎপাদন থেকে প্রাপ্ত মুনাফার অংশ শ্রমিকদের পাওয়া উচিত। শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তাদের ইচ্ছা, ক্ষমতা এবং আকাঙ্ক্ষা বিবেচনা না করে বিনিয়োগ করলে, তা ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে না।
এম এইচ/
Discussion about this post