ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক বিষয়াবলি নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। শনিবার (১৪ জুন) দুই নেতার মধ্যে এই ফোনালাপ হয় বলে জানিয়েছে তুরস্কের যোগাযোগ বিভাগ।
আলোচনায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারকে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য ‘সবচেয়ে বড় হুমকি’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইরানের ওপর সাম্প্রতিক হামলার মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের আগ্রাসী মনোভাব আবারও স্পষ্ট হয়ে গেছে।
এরদোয়ান বলেন, উত্তেজনা কমাতে ইসরায়েলকে অবশ্যই থামাতে হবে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা করে বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও গণহত্যার বিষয়ে বিশ্ব নীরব থাকায় তেলআবিব আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইসরায়েলের এই হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা চলছিল। আর এই হামলার লক্ষ্য ছিল সেই শান্তি প্রচেষ্টা নস্যাৎ করা।
ইসরায়েলি হামলার ফলে পারমাণবিক গ্যাস বা তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেন এরদোয়ান। তিনি এটিকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য এক ভয়াবহ দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।
এরদোয়ান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই অঞ্চল আরেকটি বড় সংকট সহ্য করতে পারবে না। যদি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে অনিয়মিত অভিবাসনের ঢল নামতে পারে। আর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়টি অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে।
এম এইচ/
Discussion about this post