ইরান ও ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই তেহরানে অবতরণ করেছে চীনের এক রহস্যময় কার্গো বিমান। ধারণা করা হচ্ছে এ বিমানে করে ইরানের জন্য অস্ত্র পাঠিয়েছে চীন। আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) ইরানের জধানী তেহরানের একটি সামরিক বিমানবন্দরে এ বিমান অবতরণ করে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি সামরিক বিমানবন্দরে চীনের একটি মালবাহী বিমান অবতরণ করেছে। উড্ডয়নের সময় বিমানটির ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দিয়েছিল- ফলে রাডারে এর উপস্থিতি গোপন থাকে, যা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচিত। যার ফলে আন্তর্জাতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, চীন হয়তো গোপনে ইরানকে সামরিক অস্ত্র সরবরাহ করছে। যদিও এই তথ্যের কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা মেলেনি, তবু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম “India.com” প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই বিমানের নীরব উপস্থিতি গোপন সামরিক সহায়তার ইঙ্গিত দিতে পারে। কারণ, চীন ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই কৌশলগত ও সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। ফলে এমন একটি উত্তপ্ত মুহূর্তে তেহরানে চীনা কার্গো বিমানের উপস্থিতিকে হালকাভাবে দেখছে না আন্তর্জাতিক মহল।
এদিকে ইরানকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রেক্ষাপটে যদি চীন সত্যিই ইরানকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে থাকে, তবে তা শুধু ইসরাইল নয়, বরং আমেরিকাকেও প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ জানানো মতো হবে বিষয়টা।
এর আগে চীন জানিয়েছিল, তারা গোটা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে বিষয়ে সচেতন রয়েছে। তবে তেহরানে চীনা কার্গো বিমানের অবতরণ যে বড় কোনো বার্তা বহন করে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা একমত।
প্রসঙ্গত, ইরানে ইসরাইলি হামলার পর চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরব ইরানের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থনের বার্তা দিয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইলের পাশে রয়েছে আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্ররা।
এম এইচ/
Discussion about this post