সিগারেটের নেশা ছাড়তে অনেকে বেছে নিয়েছেন ই-সিগারেট। সাধারণ সিগারেটের বিকল্প হিসেবে বহুদিন ধরেই তরুণদের মধ্যে ইলেকট্রনিক সিগারেট ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না সিগারেটের চেয়ে বহুগুনে বেশি ক্ষতিকর এই ই-সিগারেট তথা ভেপ।
গত কয়েক বছরে ই-সিগারেটের প্রচলন বেড়েছে কয়েকশো গুণ। তবে ইউরোপসহ কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই সিগারেট। আবার অনেক দেশ ধূমপান নিষিদ্ধ করে ই-সিগারেটের প্রচলন ঘটায়।আর তাতে এই সিগারেটের চাহিদা বেড়ে যায় হু হু করে।
সিগারেটের নেশা ছাড়তে নিজের অজান্তেই অনেকে নতুন নেশায় ঢুকে যাচ্ছে বলে ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা। ই-সিগারেট কোম্পানিগুলোকে স্বাদযুক্ত এই ই-সিগারেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে সব দেশের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লু এইচ ও)।
কিছু গবেষক ই-সিগারেটকে ধূমপানের কারণে মৃত্যু বা ক্যান্সারের বিকল্প হিসেবে দেখলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অধূমপায়ীদের মধ্যে নিকোটিন আসক্তি তৈরি করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে মেন্থল দিয়ে তৈরি করা এই ই-সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করতে বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। এছাড়াই ই-সিগারেটে তামাক ব্যবহারের হার কমিয়ে আনার নির্দেশনাও দিয়েছে তারা। পাবলিক প্লেসগুলোতেও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে বলেছে সংস্থাটি।
ই-সিগারেটের কার্যপ্রণালী হল সিগারেটের ভিতরে থাকে নিকোটিনের দ্রবণ যা ব্যাটারির মাধ্যমে গরম হয়। এর ফলে প্রচুর ধোঁয়া উৎপন্ন হয়। এটি মস্তিষ্কে ধূমপানের মত অনুভূতি সৃষ্টি করে।
গবেষকরা বলছেন, ই-সিগারেট সেবন করে আসলে ধূমপান ছাড়া যায় না। বরং এর পেছনে খরচ করে মানুষ আরও বড় বিপদ ডেকে আনছে। যারা ধূমপান ত্যাগ করতে চান তাদের জন্য হয়ত এটি মন্দের ভালো। তবে গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে নিকোটিনের উপর নির্ভরশীল না হওয়াই ভালো।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ই-সিগারেট সাধারণ সিগারেট থেকে দশগুণ বেশি ক্ষতিকর। জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটির টোবাকো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণার ফলাফলকে মাথায় রেখে গবেষকরা বলছেন ই-সিগারেট সেবনের একমাসের মধ্যে তরুণদের শরীরে এর প্রভাব দেখা দিতে পারে। এর থেকে যে ক্ষতি হতে পারে শরীরে তা কোনভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব না।
এ জেড কে/
Discussion about this post