যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ঈদমেলায় ফুচকা খেয়ে অসুস্থের সংখ্যা দুইশো ছাড়িয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দক্ষিণ দেয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ফুচকা খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে ১৮০ জনকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং আশঙ্কাজনক হওয়ায় ১৩ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে ফুচকা দোকানি মনির হোসেন পলাতক আছেন।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ দেয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ঈদ উপলক্ষে কয়েক বছর ধরে ঈদমেলা হয়। এ বছর ঈদের দিন বিকেল থেকে ৪ দিনব্যাপী ঈদমেলা শুরু হয়েছে। মেলায় শত শত মানুষের আগমন ঘটে। সেখানে হরেকরকম খাবারের দোকানও বসে। যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া এলাকা থেকে মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তি মেলায় অস্থায়ী ফুচকার দোকান দিয়েছিলেন। মেলায় আসা অনেক মানুষ সেই দোকান থেকে ফুচকা খান। খাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকে তারা অসুস্থ হতে থাকেন। তাদের পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা, খিঁচুনি ও জ্বর দেখা দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ অনেকে সোমবার গভীর রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের খুমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রঘুরাম চন্দ্র বলেন, “খাবারে জীবাণু থাকার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বেশির ভাগ রোগীর পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১৮০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।”
ওই দোকান থেকে ফুচকা খাওয়া আয়শা খাতুন বলেন, ‘‘রাতে বাড়ি ফেরার পর যারা ফুচকা খেয়েছিলাম সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ি। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’’
সাইফুল ইসলাম বাপ্পী নামের আরেকজন বলেন, ‘‘পরিবারের সবাই সোমবার রাতে ঈদমেলায় গিয়ে ওই দোকান থেকে ফুচকা খায়। রাতে বাড়ি আসার পর থেকে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি ফুচকা খাইনি। রাতে সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় তাদের খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’’
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আলিম বলেন, ‘‘আমরা ঘটনাটি শুনেছি। ফুচকা ব্যবসায়ীকে আমরা খুঁজছি। তার বাড়ি সদর উপজেলায় বলে জানা গেছে।’’
এম এইচ/
Discussion about this post