গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) সাতটি ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই উদ্বোধন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সাতটি ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এই সাতটি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার। এ প্রকল্প নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। এটি বাস্তবায়নে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও দেরিতে হলেও কাজটি শেষ হওয়ার পথে।
মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে এই ফ্লাইওভারগুলো দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। যার মধ্যে রয়েছে ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাঁ-পাশ), ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান-পাশ), ১৮০ মিটার জসীমউদ্দীন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-১ গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার ভোগড়া ফ্লাইওভার এবং গাজীপুরের চৌরাস্তায় ৫৬৮ মিটার ফ্লাইওভার।
ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ঈদযাত্রার বিষয়ে আমরা সভা করেছি। ট্রাক-ভারী পরিবহন বন্ধ রাখা আগে ও পরে, সেটির সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার যেটি কাজ, সেটি তারা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাতে যানজট দূর করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। গাজীপুর কিছুটা সমস্যার কারণ ছিল। কিন্তু সেটির এবার আরও সমাধান হয়ে গেলো। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে।
প্রকল্পের সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। শুরুতে প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ছিল চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত। কিন্তু পরে সময় বৃদ্ধি করে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হলেও পথ ছোট করে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কেরানীগঞ্জের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত করা হয়।
টিবি
Discussion about this post