কমলাপুর রেলস্টেশন দিয়ে যখন সবাই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছেন। ঠিক সেখানে কিছু মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে একবুক আফসোস নিয়ে। কারণ অনেকের নেই কোনো বাড়ি কিংবা পিতামাতা অথবা নেই কোনো ধর্মীয় পরিচয়। ঈদের দিন একটা নতুন জমা কিনে গায়ে পরার মতো ভাগ্যে জুটছে এই পথশিশুদের। প্রতি বছরের বাড়ছে এর সংখ্যা।
হাসান নামের এক পথশিশু, বয়স আনুমানিক ১৪ হবে। হাসান এই স্টেশনেই থাকে। সবার বাড়ি যাওয়া দেখে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছে। অবশেষে হর্ন দিয়ে চলে গেল ট্রেন কিন্তু দাঁড়িয়ে রইলো হাসান। জন্মের পর মাকে কখনো দেখেনি। ভালোবাসা তো সেটা দূরের কথা। স্টোক করে বাবাও মারা গেছে ২ বছর আগে। কীভাবে আসলেন এই জায়গায় বলতে পারেন না। কোনো আত্মীয় স্বজনদের পরিচয় ও জানেন না। বুঝ জ্ঞান হওয়ার পর দেখছে ছিন্নমুল জায়গায় তার বাসস্থান। এই ফুটপাতে তার ভালো লাগে না। সুন্দর একটা জীবন চাই। কেউ যদি আমাকে সন্তানের মতে আগলে রাখতো আমি খুশি হতাম।
ঈদে সবাই বাড়ি যাচ্ছে আমার তো মা-বাবা আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই। থাকলে আমিও যেতাম, কেউ তো আমাকে নিচ্ছে না। ঈদের দিন সবার বাবা মা কত আদর করে আর আমাদেরকে কেউ দেখতেও আসে না। এইকথা বলার সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসান। জন্মের পর মানুষের গালি আর বকা শুনতে শুনতে এই পর্যন্ত এসেছি। মানুষ আমাদের কেন জানি মানুষ মনে করে না।আমরা কি ভিন্ন জগতের কেউ। কোথাও কাজ করবো সেটাও পাচ্ছি না,বলে ছোট মানুষ তোমার এখনো আঠারো বছর হয় নাই জন্মনিবন্ধন লাগবে। কোথায় পাবো?
সুত্রঃ জাগো নিউজ
এ এ/
Discussion about this post