র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ট্রেনে নাশকতা বা সহিংসতার শঙ্কা নেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন নিশ্চিত হয়, সে জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়েছি। স্টেশনভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও এখানে আছেন।
সোমবার ( ৮ এপ্রিল) কাল ৯টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ তথ্য জানান তিনি।
র্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন নিশ্চিত হয়, সে জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়েছি। স্টেশনভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও এখানে আছেন। বিভিন্ন স্টেশনে বিপুলসংখ্যক র্যাব সদস্য নিয়োজিত করেছি। গোয়েন্দারাও কাজ করছেন, আমরা সাইবার ওয়ার্ল্ডও নজরদারি করছি। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে আমরা বসে নেই, প্রস্তুত আছি।
র্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে কাজ করছি। কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য যদি থাকে বা আশঙ্কা থাকে, তা যেন আমরা যথাসময়ে জানতে পারি, সে বিষয়ে আমাদের মেকানিজমও কাজ করছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এবং অন্য যারা কাজ করছে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে বলছি-কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তার বিষয়ে র্যাব কমান্ডার মঈন বলেন, ‘ঈদে নাড়ির টানে ঢাকাবাসীর অনেকেই বাড়ি চলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে সেই শূন্য ঢাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের ওপর বর্তায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের মোটরসাইকেল পেট্রলের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়। এ ছাড়া যারা জনপ্রতিনিধি আছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করি, যাতে কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে, আমরা যেন সঙ্গে সঙ্গে তথ্য পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় আমরা গত কয়েক দিনে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। যারা দুষ্কৃতকারী এবং ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে জড়িত ছিল, যারা এই টিকিটকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার টিকিট কালোবাজারির পরিকল্পনা করছিল, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। যাত্রীদের অনুরোধ করব-আপনারা প্রতারিত হবেন না। নিয়ম মেনে ট্রেনের টিকিট কিনে নিরাপদ যাত্রা উপভোগ করুন।’
টিবি
Discussion about this post