কেউ ট্রলার মেরামতের কাজ সেরেছেন, কেউ ট্রলারে রঙ করেছেন, কেউ ধোয়ামোছা শেষ করেছেন, অনেকে নতুন জাল বুনেছেন, আবার কেউ সব সরঞ্জাম প্রস্তুত করে রেখেছেন। এভাবেই মাছ ধরার প্রস্তুতি নিয়েছেন কুয়াকাটার জেলেরা। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদী ও সাগরে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ রবিবার। এদিন মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ ধরতে নামবেন। ইতিমধ্যে জাল, ট্রলার, নৌকাসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম মেরামত করে সব প্রস্তুতি সেরেছেন তারা। এখন শুধু অপেক্ষা নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হওয়ার।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২২ দিনের অবরোধ সফল করতে তৎপর ছিলেন মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সাগর ও নদীতে অভিযান চালিয়ে অনেক জেলেকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। তাই সাগরে গিয়ে এবার ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ এমনটি প্রত্যাশা মৎস্য বিভাগের।উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, কলাপাড়ায় নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩০৭ জেলে রয়েছেন। অবরোধ চলাকালে প্রত্যেককে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এবার অবরোধ শতভাগ সফল করতে সাগর ও নদীতে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনী অভিযান পরিচালনা করেছে।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন জানান, হাতিয়াতে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করার মতো ট্রলার রয়েছে ২ শতাধিক। এসব ট্রলারে ২০ জন করে ৪ হাজার জেলে রয়েছে। গত ২২ দিন এসব জেলের পরিবারের ভরণ পোষণ ট্রলার মালিকদের করতে হয়েছে। এ বছর ট্রলার মালিকরাও আর্থিক লাভ এখনো দেখতে পায়নি। তাতে নিষেধাজ্ঞার পরও যেন জেলেরা সাগরে যেতে সম্মত থাকে তাই তাদের পরিবারের ব্যয় ট্রলার মালিককে বহন করতে হয়েছে। সরকারিভাবে যে চাল দেওয়া হয় তা জেলেদের কোনোভাবে পোষায় না। অনেকে তাও পান না।
এস এম/
Discussion about this post