ভারতের উত্তরপ্রদেশের মাদরাসা শিক্ষা আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। চরম অনিশ্চিতার মধ্যেই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মাদরাসা এবং এর সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। অবশেষে ওই আইন বহাল রেখেই রায় দিলেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা আইন সংক্রান্ত মামলার রায় দেন। এ সময় বিচারপতির বেঞ্চ জানান, মাদরাসা শিক্ষা আইন বৈধ ও সাংবিধানিক। এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেওয়ার সময় আইনের মৌলিক কাঠামোগত ত্রুটির কথা বলেছিলেন, যা সঠিক নয়।
শীর্ষ আদালত বলছে, স্বীকৃত মাদরাসাগুলোর শিক্ষা মান যাতে আধুনিক একাডেমিক প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সে বিষয়ে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে তা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন না করেই হওয়া উচিত। একই সঙ্গে ২০০৪ সালের এই আইনে মাদরাসাগুলোকে কামিল (স্নাতক) ও স্নাতকোত্তর (ফাজিল) ডিগ্রি দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়নি। কারণ তা ইউজিসি আইনের নীতিমালা লঙ্ঘন করবে। এ বিষয়ে গৃহীত যেকোনো নিয়মাবলী অসাংবিধানিক বলে গণ্য হবে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ এই রায় দেন। এই বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রা রায়।
আর এম/
Discussion about this post