দেশের চার সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় সর্বোচ্চ ১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আজ দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
মহিববুর রহমান আরও বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। রাতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতে যেতে পারে।
এদিকে, আবহাওয়ার ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
নিম্নচাপটি আজ (শনিবার) সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির পর রোববার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। রেমাল ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ হতে পারে। তবে ‘সুপার সাইক্লোন’ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
টিবি
Discussion about this post