গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের বাগদান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল ও সমালোচনা চলছে।
সোহেল তাজ অনেক দিন ধরেই তরুণদের মাঝে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল সবসময়ই বেশি। তার বিয়ের খবরে যেমন অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তেমনি অনেক মানুষ সমালোচনাও করছেন। এবার একাধিক বিয়ে নিয়ে সমালোচনাকারীদের মন্তব্য জাস্টিফাই করতে পোস্ট দিলেন সোহেল তাজ।
গত রোববার ধানমন্ডিতে নিজের ফিটনেস সেন্টার ইন্সপায়ারে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে হাঁটু গেড়ে বসে তারই ফিটনেস সেন্টারের ট্রেইনার শাহনাজ পারভীন শিমুর হাতে আংটি পরিয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন ৫৫ বছর বয়সী সোহেল তাজ।
সোহেল তাজের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী আবু কাউছার বলেন, ‘আমিও বাগদানের সময় উপস্থিত ছিলাম। এ সময় সোহেল তাজের ছেলে ব্যারিস্টার তুরাজ তাজ, ছেলের বউ, নাতিসহ বন্ধু ও ফিটনেস সেন্টারের সবাই উপস্থিত ছিলেন।’
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সোহেল তাজ শিমুকে নিয়ে একটি টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। এ সময় কয়েকজনকে ক্যামেরা নিয়ে ব্যস্ত দেখা যায়। পরে তিনি টেবিল ঘুরে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে হাঁটু গেড়ে বসে কনের (শিমুর) হাতে আংটি পরিয়ে দেন। এ সময় উপস্থিত সবাই হাততালি দিয়ে মুহূর্তটি উদ্যাপন করেন।
সোহেল তাজের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে শিমু মা ও দুই ভাইকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে সোহেল তাজের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে আংটি বদল হলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি উঠেছে, সোহেল তাজ এর আগে একাধিকবার বিয়ে করেছেন। কেউ বলছেন, এটি তার তৃতীয় বিয়ে, আবার কেউ সাতবার বিয়ের দাবি করছেন। এ বিষয়টি নিয়েই ফেসবুকে বিতর্ক শুরু হয়। আর এবার সোহেল তাজের মন রাঙিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী রাগবি খোলোয়াড় ও জিম ট্রেইনার শাহনাজ পারভীন শিমু।
এই খবর নিয়ে ট্রল চলতে থাকলে বৃস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে একটি পোস্ট করেন সোহেল তাজ। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে- আমি কিছুই বলবো না। কারণ এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। ২টি কমেন্ট শেয়ার করলাম তা থেকে আপনারাই বুঝে নিন কোনটা সঠিক আর কোনটা মিথ্যা।’
এই পোস্টের সঙ্গে তিনি দুটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করেন, যা তার বিয়ের সংখ্যা নিয়ে চলমান বিতর্ককে জাস্টিফাই করার প্রয়াস বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে পোস্ট করার পর মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে ১ হাজার ৬শ’রও বেশি কমেন্ট জমা পড়ে, যার বেশিরভাগই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।
Discussion about this post