উন্নত জীবনের সন্ধানে ভূমধ্যসাগরের বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রিসে প্রবেশ করেছেন। গ্রিক কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তাদের দাবি, উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিট দ্বীপে আসতে গিয়ে সাগরে ডুবে মারা গেছেন এক অভিবাসনপ্রত্যাশী৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে মধ্যপ্রাচ্য আর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়মিত প্রবেশ করেন। তাদের কাছে স্পেন আর ইটালির পাশাপাশি গ্রিসও পছন্দের দেশ। মূলত প্রতিবেশী দেশ তুরস্ক ও লিবিয়ার উপকূল থেকে সমুদ্রে চলার অনুপযোগী নৌকা নিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা গ্রিসে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন৷
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দেশটির ছোট দ্বীপ ক্রিটের দক্ষিণে ৮৩ নটিক্যাল মাইল (৯৫ মাইল) দূরে দুর্দশাগ্রস্ত একটি অভিবাসীবাহী নৌকার খোঁজ জানায় একটি পণ্যবাহী জাহাজ৷ খোঁজ পেয়ে বিপদাপন্ন সেই নৌকা থেকে ৩৪ জনকে উদ্ধার করে গ্রিসের উপকূলরক্ষীরা৷ এরপর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উদ্ধার করা অভিবাসনপ্রত্যাশী ও নৌকাটির চালকের বরাত দিয়ে তারা জানায়, নৌকায় থাকা এক লোক পানিতে পড়ে যান৷ তাকে আর উদ্ধার করতে পারেননি সহযাত্রীরা৷
উদ্ধারের পর সব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ক্রিটে নিয়ে আসে উপকূলরক্ষীরা৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীরা জানিয়েছেন, ২১ মে তারা লিবিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন৷
২৩ মে গ্রিসের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মোনেমভাসিয়ার কাছের একটি সমুদ্র সৈকত থেকে ৫১ জন পুরুষ, আট জন নারী এবং ১৯ জন শিশুকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ তারা কোন জায়গা থেকে রওয়া হয়েছিলেন তা স্পষ্ট হয়নি৷ সাধারণত ওই অঞ্চলের সমুদ্রপথটি তুরস্ক থেকে গ্রিস বা ইটালিতে চোরাচালানে ব্যবহার করা হয়৷
এছাড়াও একইদিনে সিমি দ্বীপের উপকূল থেকে ২২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকেও উদ্ধার করেছে উপকূলরক্ষীরা৷ তারা জানিয়েছে, তুরস্কের উপকূল থেকে গ্রিসে পৌঁছে দিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা মানবপাচারকারীদের অর্থ দিয়েছেন৷ চলতি বছর সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত অন্তত ১৬ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রিসে পৌঁছেছেন৷ তাদের বেশিরভাগই এসেছেন সমুদ্রপথে৷ ২০২৩ সালে সব মিলিয়ে ৪৮ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছিলেন দেশটিতে৷
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২১ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছেন স্পেনে৷
এ এস/
Discussion about this post