রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে হতাশ করেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এক বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন মুশফিক। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি। এদিন মুশফিকের সেঞ্চুরিতে শক্ত অবস্থানে থেকে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৩৮৯ রান জমা করেছে বাংলাদেশ। ১০১ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিক। ১৭ রানে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এখন পিছিয়ে ৫৯ রানে।
এর আগে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনেই লিটনকে নিয়ে ফিফটি আদায় করে নেন মুশফিক। চতুর্থ দিনে এসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও, মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ দূর করেন মুশফিক। ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক।
এদিন সকালের শুরুতেই নাসিম শাহর বলে সাজঘরে ফিরতে হয় লিটন দাসকে। লিটন ফিরেন ৭৮ বলে ৫৬ রান করে। এরপর মিরাজকে নিয়ে দলকে টানেন মুশফিক। তুলে নেন সেঞ্চুরি। অপরপ্রান্তে মিরাজ মুশফিককে দারুণ সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন।
এদিন অবশ্য সকালের শুরুতেই ফিরতে পারতেন মুশফিক। দিনের ষষ্ঠ ওভারে মোহাম্মদ আলির লেংথ ডেলিভারিতে একটু পিছিয়ে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। বল প্যাডে আঘাত করার পর আবেদন করতেই আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো। তবে লিটনের সঙ্গে কথা বলে ২ সেকেন্ড বাকি থাকতে রিভিউ নেন মুশফিক। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল বেরিয়ে যেতো স্টাম্পের বাইরে দিয়ে। যার ফলে নিজের সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হন কেটেলবরো। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন মুশফিক।
এম/এইচ
Discussion about this post