বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে অবিলম্বে দুঃখ প্রকাশ করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমের কাছে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে হাইকোর্টে দায়ের রিট থেকে এলডিপির নাম প্রত্যাহারের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমে এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘যে সমন্বয়করা স্বৈরাচার হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম ও এলডিপির অবদান সম্পর্কে জানে না, তারা আর যাই হোক মেধাবী ও রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি হতে পারে না।’
‘বিগত ১৬ বছরে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা দল এলডিপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে হাইকোর্টে সমন্বয়কদের রিট করার বিষয়টি দুঃখজনক।’
হাইকোর্টে দায়েরকৃত রিট থেকে এলডিপির নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দীন বলেন, ‘অবিলম্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমের কাছে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানাই।’
এর আগে সোমবার সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দশটি দলের মধ্যে জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপিও রয়েছে।
রিটটির আবেদনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। রিটে তারা আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন।
বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চে মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম জানিয়েছেন।
এ ইউ/
Discussion about this post