এডার মিলিটাও ও অ্যান্টনিও রুডিগারের কাঁধে টনি ক্রুস, তার সামনেই হাসিমুখে দাঁড়িয়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ছবিটা শনিবার রাতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর। এই ম্যাচ দিয়েই ক্লাবটির হয়ে বর্ণিল ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন টনি ক্রুস।
কিছুদিন আগে আসন্ন ইউরোর পর সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন জার্মানির এই তারকা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালই ছিল রিয়ালের হয়ে তার শেষ ম্যাচ। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৫তম বারের মতো শিরোপা জিতেছে রিয়াল, ক্লাবটির হয়ে এটি ক্রুসের পঞ্চম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়।
এমন ম্যাচ দিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ক্রুস। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘এটা একদম নিখুঁত ইতি হলো। এমন একটা শেষের স্বপ্নই আমি দেখেছি। আপনাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবমিলিয়ে ক্রুসের শিরোপা ছয়টি। ২০১৩ সালে ডর্টমুন্ডকে হারিয়েই বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে প্রথমবার এই ট্রফি জয়ের স্বাদ পান, পরের পাঁচটি জিতেছেন রিয়ালের হয়ে।
আরও পড়ুনঃ পরীবাগে হিজড়াদের হামলায় চোখ হারালেন এসআই
ছয়টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে রেকর্ডও সঙ্গী হয়েছে ক্রুসের। পেকো জেন্টো, কার্ভাহাল, লুকা মদ্রিচ ও নাচোর সঙ্গে যৌথভাবে এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা ফুটবলার তিনি। ক্রুস ছাড়া বাকিরা অবশ্য জিতেছেন শুধুই রিয়ালের হয়ে।
এই অর্জন নিয়ে ক্রুস বলেন, ‘অসাধারণ। ছয়টা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা পাগলাটে একটা ব্যাপার। এমন কিছু হবে, আমি কখনো ভাবিনি।’
সবমিলিয়ে ১৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে রিয়াল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসি মিলানের ট্রফি কেবল সাতটি। গত ১০ বছরে এটি রিয়ালের ষষ্ঠ শিরোপা। প্রায় এক দশক ক্লাবটিতে কাটানো ক্রুসের কাছে এমন সাফল্যের ব্যাখ্যা কী?
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে এরকম ম্যাচে আমরা হারতেই পারি না। আপনি ফাইনাল হারেন না, আমার মনে হয় এটা একটা ভালো ভিত্তি (জেতার জন্য)। দলের মানের কারণেই এমন হয়, কিন্তু আমাদের মানসিকতাও দুর্দান্ত। এখানকার সবার বিশ্বাস অনেক বেশি। এই জিনিসটাই বাকিদের চেয়ে রিয়ালকে আলাদা করেছে।’
এ এ/
Discussion about this post