ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে এক কসাইকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় সিআইডি। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম নাম জিহাদ হাওলাদার বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং পেশায় তিনি একজন কসাই। খুনের পর এমপি আনারের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। জিহাদ অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বাস করতেন।
সিইডির তদন্তকারীরা জানান, মনে করা হচ্ছে, মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান তাকে ঘটনার দু’মাস আগে কলকাতায় নিয়ে আসে। তার পরই আনারকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। আখতারুজ্জামান জেরায় স্বীকার করেছে, ফ্ল্যাটে চারজন মিলে সাংসদকে খুন করা হয়। সেখানেই তার দেহাংশ থেকে হাড় এবং মাংস আলাদা করা হয়। টুকরো টুকরো করে কেটে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরা হয় দেহাংশ। প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বের হয় খুনিরা।
বিভিন্ন গাড়িতে চড়ে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায় তারা। কলকাতার একাধিক এলাকায় ফেলা হয় দেহাংশ। অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারকে বারাসত আদালতে তোলা হবে। হত্যাকাণ্ডের তথ্যের খোঁজে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিহাদকে হেফাজতে নেয়ার চিন্তা করছেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ভাঙড়ে ফেলা হয়েছে বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ। ধৃত অ্যাপ ক্যাব চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার দাবি অনুযায়ী, খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়। দেহাংশ পোলেরহাট থানার ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি গ্রামে ফেলা হয়েছে। এই মুহূর্তে সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। চলছে জোর তল্লাশি।
টিবি
Discussion about this post