দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ পুড়ছে তীব্র দাবদাহে। এর মধ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ ছাড়াও মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে। ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রোববার (২৮ এপ্রিল) মিয়ানমারে রেকর্ড করা হয়েছে।
দেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তীব্র দাবদাহে। স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশে দেশে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর চাপ বাড়ছে। ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় চলতি সপ্তাহেই তাপমাত্রা ৩৮ ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়, যা ১৯১৫ সালের পর রেকর্ড। এ অবস্থায় দেশটিতে দুদিনের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কম্বোডিয়ার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। গরমে স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, ভিয়েতনামে তীব্র দাবদাহের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রে হামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তীব্র দাবদাহ চলছে। অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি। প্রতিবেশি মিয়ানমারে রোববার তাপমাত্রা ওঠে ৪৮.২ ডিগ্রি সেলিয়াস, যা দেশটির ৫৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়া থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা প্রতিদিনই বাড়ছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ নাগরিকদের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে জারি করেছে সতর্কতা।
বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের তাপমাত্রার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবকে দায়ী করা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে, দাবদাহ দীর্ঘস্থায়ী, তীব্র ও বারবার হতে পারে।
এ এ/
Discussion about this post