সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ মে) নারী নির্যাতন মামলায় নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নোবেলের নামে ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে।এর মধ্যে নারী নির্যাতন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। ২০১৮ সালে নোবেলের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। তিনি তখন ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজে অধ্যয়নরত ছিলেন।
নোবেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায় সময় কথা-বার্তা বলতেন। এরপর নোবেলের সঙ্গে দেখাও করেন সেই তরুণী।নোবেল তাকে নিজের স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ডেমরা থানা এলাকায় তার বর্তমান ঠিকানার বাসায় নিয়ে যান। এরপর সেই তরুণী ফিরতে চাইলে একপর্যায়ে আরো দুই-তিনজন বিবাদীর সহায়তায় তাকে সেই বাড়ির একটি কক্ষে আটক করে রাখেন নোবেল।
এ সময় তার মোবাইল ফোনও ভেঙে ফেলেন। সেই ঘরে আটক রেখে তরুণীকে ধর্ষণ করেন নোবেল এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন।
তবে নোবেলের মামলার বিষয়ে স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ বলছেন, আমি এখন মালয়েশিয়ায় রয়েছি। ফেসবুকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেখে জানলাম। নোবেলের সঙ্গে আমার অনেক দিন দেখা হয় না ঠিক, কিন্তু ফোনে কথা হয়।
আর যে অভিযোগ শুনলাম, ‘সাত মাস ধরে নোবেল আটকে রেখে ধর্ষণ’- আসলে ওর সঙ্গে সাত মাস কারো পক্ষে থাকা সম্ভব এটা আমার বিশ্বাস হয় না। আর ও নেশাগ্রস্ত, ও কিভাবে আটকে রাখবে?
নোবেল মাদকাসক্ত উল্লেখ করে সালসাবিল বলেন, ও দীর্ঘদিন ধরে রিহ্যাবে ছিল। তারপর ছাড়া পেয়েছে। এরপর আমার সঙ্গে কথা হতো, কিন্তু ওর সঙ্গে যে কেউ থাকত সেটা আমি জানতাম না। যেহেতু মামলা হয়েছে, ধর্ষণের- এখন আদালতে প্রমাণ হবে সত্য-মিথ্যা, আমাকেও সেভাবে অপেক্ষা করতে হবে।
সালসাবিল মাহমুদ এর আগে নোবেলকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছিলেন, পরে সেটা মিটমাট করা হয়।
এম এইচ/
Discussion about this post