পর্যটকদের ভিড়ে মুখোরিত থাকা কক্সবাজার এখন এক আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে। কারণ এই সৈকতে ভেসে আসছে ভয়ংকর বিষাক্ত সাপ ইয়েলো বেলিড সি প্রজাতির বিষধর সামুদ্রিক সাপ। যা বিশ্বের চতুর্থ বিষধর সাপের মধ্যে একটি। একবার কামড় দিলে বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
স্থানীয়রা জানায়, এক সপ্তাহে জোয়ারের পানিতে ৩ টি সাপ ভেসে এলো। এর মধ্যে একটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে পর্যটকরা। বাকি দুটি সাপকে বালিচাপা দিয়েছে বীচ কর্মীরা।
প্রশান্ত মহাসাগরের পানির ওপরের স্তরে বাস হলেও সম্প্রতি কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে দেখা মিলছে হলুদ পেটওয়ালা এই সাপের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে একাধিক সাপ পাওয়া গেছে। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গেল বুধবার কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে হলুদ পেটযুক্ত ইয়েলো বেলিড সি স্নেক। মে মাসের শেষের দিকে ভেসে আসে একই প্রজাতির আরও দুটি সাপ। এসব সাপ সচরাচর উপকূলে দেখা মেলে না। তবে সম্প্রতি কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত ছাড়াও কুয়াকাটা এমনকি হাতিয়াতেও এই সাপের দেখা মেলে।
সাপটির মাথা লম্বা যা আকৃতিতে শরীর থেকে আলাদা। শরীরের উপরের অর্ধেক কালো থেকে গাঢ় নীলাভ-বাদামী রঙের এবং নীচের অর্ধেক হলুদাভ থেকে তীব্রভাবে চিত্রিত। লেজ প্যাডেল আকৃতির এবং গাঢ় দাগ বা বারসহ হলুদ। দেহের নীচের এই হলুদ রঙের জন্যই একে ইয়েলো বেলিড নামে ডাকা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, সামুদ্রিক সাপের মধ্যে হলুদ-পেটের সামুদ্রিক সাপ সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর। এই সাপ অত্যন্ত বিষধর এবং এতে শক্তিশালী নিউরোটক্সিন এবং মায়োটক্সিন রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, পর্যটকদের এই সাপ সম্পর্কে সতর্ক করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিচ কর্মীরা মাইকিং করে, হোটেল ও সৈকতের প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়। যেহেতু সৈকতে বর্ষা মৌসুমে সামুদ্রিক সাপের দেখা মিলছে তাই এ ব্যাপারে নির্দেশনার পাশাপাশি মাইকিং করা হবে। এসব সাপের ব্যাপারে পর্যটকদের আরও সতর্ক করা হবে বলেও জানান তিনি।
এস আর/
Discussion about this post