অবশেষে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই ২৬ আসনে কোন প্রার্থী থাকবে না আওয়ামী লীগের। যদিও আগ থেকেই নারায়নগঞ্জ-৫ আসনে কোন প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ নৌকার টিকিট পেয়েও আসন সমঝোতার কারণে কপাল পুড়লো আরও ২৫ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর।
এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকেট হারিয়েছেন মো. ইমদাদুল হক। সেখানে জাপা থেকে দেওয়া হয়েছে হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে। কিশোরগঞ্জ-৩ থেকে মো. নাসিরুল ইসলাম খানকে নৌকার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে হবে, সেখানে ছাড় দেওয়া হয়েছে মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে।
রংপুর-৩ আসন থেকে লড়বেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ফলে সেখানে কপাল পুড়েছে নৌকার মাঝি হতে চাওয়া তুষার কান্তি মণ্ডলের। এছাড়া রংপুর-১ মো. রেজাউল করিম রাজু, নীলফামারী-৪ মো. জাকির হোসেন বাবুল, কুড়িগ্রাম-১ মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, কুড়িগ্রাম-২ মো. জাফর আলী, গাইবান্ধা-১ আফরুজা বারী, গাইবান্ধা-২ মাহবুব আরা বেগম গিনি, সিলেট-৩ হাবিবুর রহমান, নীলফামারী-৩ মো. গোলাম মোস্তফা, বগুড়া-৩ মো. সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. শাহজাহান আলম,
চট্টগ্রাম-৮ নোমান আল মাহমুদ, বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান মানিক, সাতক্ষীরা-২ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, ফেনী-৩ মো. আবুল বাশার, চট্টগ্রাম-৫ মোহাম্মদ আবদুস সালাম, পটুয়াখালী-১ মো. আফজাল হোসেন, ময়মনসিংহ-৫ মো. আব্দুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৮ মো. আব্দুছ ছাত্তার, পিরোজপুর-৩ মো. আশরাফুর রহমান, হবিগঞ্জ-১ ডা. মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, মানিকগঞ্জ-১ মো. আব্দুস সালাম, বরিশাল-৩ সরদার মো. খালেদ হোসেনকে ত্যাগ করতে হচ্ছে নৌকার মায়া।
কয়েক দফা বৈঠকের পর জাপাকে ২৬ আসনে ছাড় দিতে সম্মত হয় আওয়ামী লীগ। তবে ঢাকার কোনো আসন জাপাকে দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীনরা। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্র জাপার এবারের দাবি ছিল ৫০ আসন। ৩৫-এর কম আসনে সমঝোতায় রাজি নয়—এমন মনোভাবও জানিয়েছিল দলটি।
১৯৯৬ সালে জাপাকে নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০৮ থেকে সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত আসন ভাগাভাগি হয়েছে দুই দলের মধ্যে। এবার জাপা পৃথক নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষই আসন বণ্টন করতে সম্মত হয়।
Discussion about this post