শীত মৌসুমের আগমনের আগেই বাজারে আমদানি বেড়েছে শীতকালীন সবজির। বিক্রেতারা বলছে, সরবরাহ থাকায় সবজির বাজারে দাম কিছুটা কম। তবে বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ ও চালের দাম।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে বাজারের সবজি ও মাছের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাঁধাকপিও প্রতি পিস ৫০ টাকা। এ ছাড়া লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবচেয়ে বেশি দামি সবজির তালিকায় রয়েছে শিম, গাজর আর টমেটো। গাজর প্রতি কেজি ২০০ টাকা, শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, টমেটো ১৮০ টাকা। গোল বেগুন, কাঁকরোলের কেজিও ১০০ টাকার ঘরে।
এ ছাড়া চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে তা ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
চড়া আলুর দামও। প্রতি কেজি আলু কিনতে হচ্ছে ৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ৬৫ টাকা। বাড়তি দামের জন্য সরবরাহ কমের অজুহাত বিক্রেতাদের। যদিও ভোক্তাদের অভিযোগ কার্যকর তদারকি অভাবে অতি মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করা হলেও কমেনি চালের দাম। ৫৪ টাকার নিচে মিলছে না মোটা চাল। সরু চালের কেজি ৭২ টাকার ওপরে।
ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৯০ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলসা কেজি ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রুই ৩৮০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ইউ/
Discussion about this post