তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে ২৬ লাখ টাকার কর ফাঁকির মামলায় খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ আদেশ দেন।
এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিচারিক আদালতের দেয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।
এদিকে হাইকোর্টে আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর এ মামলায় রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
গত ২০ নভেম্বর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। এর আগে ৩ নভেম্বর এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য নিজ খরচে পেপারবুক তৈরির অনুমতি দেন হাইকোর্ট। সবশেষ বুধবার সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
সূত্র:চ্যানেল 24
এস এইচ/
Discussion about this post