মো. নাহিদ ইসলাম, কাতার:
কাতারের দোহান্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিটির সদস্য এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের কর্মসূচীর সুচনা করা হয়।
অতঃপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সম্মান জানানো হয় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্ম- উৎসর্গকারী সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়াও মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যের উপর বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় অংশ গ্রহণ কালে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিশ্বরণীয় অবদান ও আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যের উপর আলোচনা করেন। এছাড়ও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতিজ্ঞা করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে তাঁর অবিস্মরনীয় অবদানের কথা স্মরণ করেন। অতঃপর তিনি জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযদ্ধে নিহত সকল শহিদ, নির্যাতিত মা-বোন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য সংক্ষেপে আলোচনা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আবারো অব্যাহত রাখতে এবং সর্বোপরি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে সকলকে অবদান রাখার অনুরোধ জানান।
পরিশেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিগণকে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার দ্বারা আপ্যায়িত করা হয়।
Discussion about this post