পবিত্র কাবাঘরের চাবি রক্ষক ড. শেখ সালেহ আল শাইবি ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। স্থানীয় সময় শনিবার (২২ জুন) সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
দেশটিতে জীবন ধারণের খরচ বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় অনেক মুসল্লির পক্ষে এবার কোরবানি করা সম্ভব হয়নি। পশু কোরবানি ছাড়াই পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করলেন নাইজেরিয়ার লাখ লাখ মুসল্লি। মহান আল্লাহ’র নির্দেশনা অনুযায়ী নবী ইব্রাহিম আ. এর দেখানো পথ অনুসারে পবিত্র কোরবানিতে বিশ্বের মুসলিম ব্যক্তিরা পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।
নাইজেরিয়ার সবচেয়ে বড় শহর কানোতে বসবাস করেন ওদা। ব্রিটিশ গনমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, প্রতিবছরই কোরবানিতে আমি একটি পশু কোরবানি দিয়ে থাকি। কিন্তু এবছর কোরবানি দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
নাইজেরিয়ায় গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুরাবস্থা চলছে। এর ফলে অনেকের মাঝে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। দেশটিতে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। যা গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া খাবারের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
দেশটিতে একটি ভেড়ার দাম ১ লাখ নায়রা বা ৬৩ ডলার। যা অনেকের পক্ষে ক্রয় করা সম্ভব নয়। ৬৬ বছর বয়সী আর এক নাইজেরিয়ান মাললাম আউয়াল ইয়াসাই বলেন, এ বছর কোরবানি দেয়ার জন্য একজনকে খুঁজছিলাম। কারণ একার পক্ষে একটি পশু ক্রয় করা সম্ভব নয়। তাই ভাগে কুরবানি দিতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত দুই জনে মিলে একটি উট কিনেছি।
ইমাম গারবা সকোতো বিবিসিকে বলেন, পবিত্র কোরবানিতে একজন মুসল্লি আল্লাহ’র রাস্তায় ভেড়া, ছাগল অথবা উট কোরবানি দিয়ে থাকেন। আল্লাহ’র নবী ইব্রাহিম আ. একদিন প্রিয় বস্তুকে কোরবানি দেয়ার স্বপ্ন দেখেন। এরপর তিনি তার সবচেয়ে প্রিয় সন্তান ইসমাঈলকে কোরবানি দিতে যান। কিন্তু মহান আল্লাহ’র অশেষ মেহেরবানিতে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। এরপর থেকেই বিশ্বের মুসলিমরা কোরবানিতে পশু জবাই করে থাকেন।
তিনি বলেন, কারো যদি পুরো একটি পশু কোরবানি করার সামর্থ না থাকে তাহলে সে সাত ভাগে একটি গরু কিংবা উট কোরবানি দিতে পারবেন।
‘প্রতি বছরই আমি পবিত্র কোরবানিতে একটি পশু কোরবানি করি। ১৯৭৬ সাল থেকেই আমি এটা করি। কিন্তু এ বছর সম্ভব হয়নি। নাইজেরিয়ার অনেক মুসল্লিদের অবস্থা এরকমই।’ কথাগুলো বলছিলেন ৭৮ বছর বয়সী মাললাম কবিরু টুড়ুন ওদা।
সুত্রঃ বিবিসি
এ এ/
Discussion about this post