সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফৌজদারি মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন দেশটির এক আদালত। একইসঙ্গে সতর্ক করে বলা হয়েছে, আবারও আদালতের আদেশ পরবর্তীতে লঙ্ঘন করলে জেলে যেতে হতে পারে তাকে।
নিউইয়র্কের একটি আদালত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এই আদেশ দেন। ওই আদালতে পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি চলছিল। শুনানি চলাকালে আদেশ ছিল, ট্রাম্প যেন প্রকাশ্যে মামলার সাক্ষী, বিচারক বা আদালতের কর্মী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনকে আক্রমণ না করেন।
আরও পড়ুনঃ কেনিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু
কিন্তু ৯ বার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই আদেশ লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় আদালতের কাছে। এজন্য বিচারক হুয়ান মারচেন নির্দেশ দেন, এক হাজার ডলার করে প্রতিবারের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা দিতে হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। একইসঙ্গে নিজের তৈরি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল থেকে সাতটি এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার ওয়েবসাইট থেকে দুটি পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তাকে।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন ২ মে
২৩ এপ্রিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, এ মামলার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টে কথা বলেছেন তিনি। ট্রাম্পের করা এমন ১০টি পোস্টের কথা উল্লেখ করে তাকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করার দাবি জানিয়েছিলেন প্রসিকিউটররা। সেসব পোস্টে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ঘুষ মামলার সম্ভাব্য সাক্ষীদের অপমান করেছেন এবং জুরির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
উল্লেখ্য,যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে আদালতের আদেশ অমান্য করলে। ফলে নতুন এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাম্পকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশও দিতে পারবেন বিচারক।
এ এ/
Discussion about this post