কেরালা থেকে প্রায় দেড় হাজার মানুষ কুয়েতের একটি ব্যাংক থেকে প্রায় ৭০০ কোটি রুপি (৩০৩ মিলিয়ন দিরহাম) ঋণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে কেরালা পুলিশ বড় ধরনের তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৭০০ থেকে ৮০০ জন নার্স রয়েছেন, যারা কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত ছিলেন।
প্রাথমিকভাবে ছোট ছোট ঋণ নিয়ে নিয়মিত পরিশোধ করে ব্যাংকের আস্থা অর্জন করার পর, তারা বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে যায়। অনেকে এই অর্থ দিয়ে বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন, আবার কেউ কেউ কেরালায় সম্পত্তি কিনেছেন।
কুয়েতি ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুল ভাসির অভিযোগের ভিত্তিতে এরনাকুলাম ও কোট্টায়াম জেলায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা) এবং ৪০৬ (বিশ্বাসভঙ্গ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেরালা পুলিশকে সহযোগিতা করছে গালফ ব্যাংক। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত নার্সরা কুয়েতে তাদের স্থায়ী চাকরির সুবাদে বড় অঙ্কের ঋণ পেয়েছিলেন, তবে পরিকল্পিতভাবে ঋণ পরিশোধ না করেই পালিয়ে যান।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী, অভিযুক্তরা ভারতীয় নাগরিক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। ৪২০ ধারায় সর্বাধিক ৭ বছর এবং ৪০৬ ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানার বিধান রয়েছে।
২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। মামলার আন্তর্জাতিক ব্যাপকতার কারণে, তদন্তকারীরা আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো ব্যবহার করে অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
এ ইউ/
Discussion about this post