কুয়েতের আবু হালিফা আমানকো সিকিউরিটি কোম্পানির ছাদ থেকে এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। নিহতের নাম আনোয়ার হোসাইন (৪১), যিনি যশোর সদর উপজেলার কোতায়ালী থানার চাঁদপাড়া গ্রামের মিকাইল মোল্লার ছেলে।
সূত্র মতে, ২৭ অক্টোবর (রোববার) সন্ধ্যা অথবা রাতে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কয়েকজন আফ্রিকান কর্মী জড়িত। হত্যার পর, স্থানীয় পুলিশ পাঁচ আফ্রিকান নাগরিককে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে।
আমানকো সিকিউরিটি কোম্পানিতে আফ্রিকান, মিশরীয়, নেপালী ও বাংলাদেশি শ্রমিকরা কাজ করেন। আনোয়ার হোসাইন ওই কোম্পানির টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার আগে আনোয়ারের কয়েকজন আফ্রিকান সহকর্মীর সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই ঝগড়ার পরই তাকে হত্যা করা হয়।
এদিকে, স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, খবর পাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স ও নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আনোয়ার মারা যান। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও পরে সন্দেহভাজনরা পালিয়ে যাওয়ার পর আটক হয়। তবে কর্তৃপক্ষ আটকদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেন জানান, তারা আমানকো কোম্পানির ভবন পরিদর্শন করেছেন এবং তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তদন্ত শেষে মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
আর এম/
Discussion about this post