কুয়েতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন গতকাল সোমবার দায়িত্ব নিয়েছেন। এদিন সকালে তিনি দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রদূত কুয়েতে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রথমেই তিনি কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত কুয়েতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামগ্রিক কল্যাণে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি দূতাবাসের কনস্যুলার সেবার মানকে আরও সহজ এবং আধুনিকীকরণ করা এবং দূতাবাসকে প্রবাসীবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি প্রবাসীদের দোরগোড়ায় কনসুল্যার সেবা পৌঁছে দিতে কুয়েতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা চালু করার কথা বলেন। তাঁর দায়িত্ব পালনকালে কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও উচ্চ পর্যায়ের সফরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত কুয়েতের স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে আরও বেশি সংখ্যক দক্ষ বাংলাদেশি জনবল নিয়োগের চেষ্টা চালাবেন মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং নতুন ক্ষেত্র তৈরির জন্য কাজ করবেন মর্মে জানান।
রাষ্ট্রদূত সৈয়দ তারেক হোসেন কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও সহযোগিতামূলক এবং শক্তিশালী করতে চান। তিনি কুয়েতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কুয়েতের স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলার আহ্বান জানান এবং প্রবাসে কষ্টার্জিত অর্থ বৈধ চ্যানেলে দেশে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ হাসান উজ-জামান, মিনিস্টার শ্রম মো. আবুল হোসেন, কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, কাউন্সিলের (ভিসা–পাসপোর্ট) মো. ইকবাল আকতার, তৃতীয় সচিব আবদুল লতিফ ফকিরসহ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
এ এস/
Discussion about this post