জীবন-জীবিকার তাগিদে ভাগ্য বদলের আশায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেন বাংলাদেশিরা। তাদের কেউ ফেরেন জীবিত, আবার কেউ ফেরেন কফিনে করে। প্রবাসীদের কেউ মারা গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মরদেহ দেশে পাঠাতে হাত পাততে হয় দ্বারে দ্বারে। বিপাকে পড়ে পরিবার-সহকর্মীরা। অর্থের সংস্থান না হওয়ায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে মরদেহ দিনের পর দিন মর্গে পড়ে থাকে।
দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীরা মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিনামূল্যে মরদেহ দেশে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেই দাবি এখনো পূরণ না হলেও কুয়েত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের লাশ দেশে আনতে খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। কুয়েতে গত ৬ নভেম্বর থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হয়েছে।
কুয়েতে থেকে একজন প্রবাসীর মরদেহ ঢাকায় পাঠাতে আগে ব্যয় হতো ২৫৫ দিনার, সেটি কমিয়ে ১৭৫ দিনার করা হয়েছে। কুয়েত থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটে একজন প্রবাসীর মরদেহ পাঠাতে খরচ হতো ২৭৫ দিনার, যা বর্তমানে ১৯০ দিনার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুয়েতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এক সময় প্রবাসীদের মরদেহ বিনামূল্যে দেশে পাঠানো হতো। পরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে অনুরোধ করেছিলেন ভাড়া কমানো যায় কি না। ফলে আমি হেড অফিসে যোগাযোগ করি, তারাও সাড়া দিয়ে ভাড়া আগের চেয়ে অনেক কমিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভাড়া কমানোতে প্রবাসীরা উপকৃত হবেন। অনেক প্রবাসীর কুয়েতে কেউ নেই, যার কারণে মারা যাওয়ার পর বিমানের খরচ দিতে কষ্ট হয়ে যায়। সবদিক বিবেচনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স খরচটা কমিয়েছে, যা অন্য কোনো এয়ারলাইন্সে পাওয়া যাবে না।
করোনার আগে বিনামূল্যে মরদেহ পরিবহন করলেও পরে লোকসান দেখিয়ে তা বন্ধ করে দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
এদিকে যারা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে অবদান রেখেছেন, তাদের মরদেহ বিনামূল্যে দেশে প্রেরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
Discussion about this post