অনেকের কাছেই স্বপ্নের দেশ কানাডা। সেই স্বপ্ন পুরনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও দেশটিতে পাড়ি দিতে চান লাখ লাখ মানুষ। তবে বেশির ভাগের ক্ষেত্রে সেই স্বপ্ন অধরা থাকলেও অনেকে ঠিকই পৌঁছে যান কাঙ্খিত গন্তব্যে। একটু ভালো থাকার আশায় নিজ দেশে ছেড়ে অভিবাসী হিসেবে সেখানে আবাস গড়ে তোলেন অনেকে।
তবে সম্প্রতি সেই অভিবাসীদের কানাডা ছাড়ার হিড়িক লেগে গেছে। অর্থাৎ যে যেভাবে পারছে, যত দ্রুত পারছে কানাডা ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন অভিবাসীরা?
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, কানাডায় জীবনযাপনের ব্যায় বেড়ে গেছে বহুগুন। আছে আবসস্থলের স্বল্পতা। সব মিলিয়ে দেশটি থেকে পিছু হঠতে শুরু করেছেন তারা।
তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে ৪২ হাজার মানুষ কানাডা ছেড়ে চলে গেছে। আর ২০২২ সালে কানাডা ছাড়েন ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ। আর ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৮৬ হাজার।
গত ৮ বছরে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছে ২৫ লাখের মতো মানুষ। তবে দিন দিন সেই সংখ্যা কমে আসায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন জাস্টিন ট্রুডো সরকার। কানাডা ছেড়ে যাওয়া অনেকে অভিযোগ করছেন, অনেক ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় তাদের সাথে। এমনকি জীবনমানের খবর এতোটাই বেড়েছে যে শুধু বাসাভাড়া দিতেই চলে যায় মোট আয়ের ৩০ শতাংশ।
আর কেউ যদি কানাডায় বাড়ির মালিক হতে চায় তাহলে একটি পরিবারের মোট আয়ের ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ির পেছনে খরচ করতে হয় প্রতি মাসে। এই সংকট কমাতে অবশ্য নতুন নীতি গ্রহণ করেছেন ট্রুডো সরকার। এর আওতায় ২০২৫ সাল থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ মানুষ কানাডায় নতুন বসতি স্থাপন করতে পারবে বলে জানানো হয়। এই নীতির উদ্দেশ্য হলো আবাসন খাতের ওপর চাপ কমানো। তবে অনেকেই মনে করছেন, এ পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়।
Discussion about this post