জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর দেশে ফিরেছেন ।বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজহারী নিজেই তার দেশে ফেরার তথ্য নিশ্চিত করেছেন
এর আগে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন মিজানুর রহমান আজহারী। সে সময় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে এখানেই এ বছরের তাফসির প্রোগামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই, মার্চ পর্যন্ত আমার বাকি প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হলো। রিসার্চের কাজে আবারও মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে আবারও দেখা হবে ও কথা হবে ইনশাআল্লাহ।জানা গেছে, ভারত সরকারের অদৃশ্য চাপে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আজহারীকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। তার দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গ নিয়ে একাধিক সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আজহারীর এক মাহফিলে ১২ ভারতীয় নাগরিকের ধর্মান্তরের একটি ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ভারত সরকারের অদৃশ্য চাপেই আজহারীকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে।
ভক্তরা জানিয়েছেন, স্পষ্টভাষী এবং সাহসী একজন বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। তার মাহফিলগুলোতে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি কাউকে পরোয়া করতেন না। তা ছাড়া তার বিভিন্ন মাহফিলে এসে অসংখ্য বিধর্মী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেন। মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী শুধু তৎকালীন সরকারের জন্যই আতঙ্কের কারণ ছিল না, অসংখ্য ভণ্ড পীর-মুরিদদেরও চক্ষুশূল ছিলেন। তারাও বিভিন্নভাবে তাকে ওয়াজের ময়দান থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করেছিল সে সময়। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর আলোচনা শুনতেন। এমনকি বাংলাদেশে এসে অনেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। যে কারণে আন্তর্জাতিক চাপের মুখেই তাকে দেশ ছাড়া করা হয়েছিল।
মূলত ২০২০ সালে জয়পুরহাটে ও লক্ষ্মীপুর মাওলানা আজহারীর দুই মাহফিল ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। ভারত থেকে ১২ সদস্যের একটি হিন্দু পরিবার আজহারীর লক্ষ্মীপুরের মাহফিলে এসে ধর্মান্তরিত হন। ওই সময় পুলিশ ১২ জনকেই আটক করে এবং তাদেরকে ভারতে ফেরত পাঠায়। এরপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা আজহারীকে জামাতসংশ্লিষ্ট বলে ট্যাগ দেন।
এস এম/
Discussion about this post