কেবল একটি টুরিস্ট ভিসা থাকলেই যাওয়া যাবে ৬ দেশে। ভ্রমণ ও পর্যটনখাত সমৃদ্ধ করতে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের ছয়টি দেশের নাগরিক ও পর্যটকদের চলাচল আরও সহজ করতে একক ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশগুলোর জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসি।
বুধবার (৮ নভেম্বর) এমন ঘোষণাই এসেছে দ্য গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)। এই জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
ইউরোপের শেনচেন ভিসার আদলে একক ভিসায় একাধিক দেশে ভ্রমণের সুযোগ দিতে জোটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের টানা ৪০ দফা বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জোটের ছয় দেশ— বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশগুলোর নাগরিক ও পর্যটকেরা এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।জিসিসি জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪০তম বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন জোটটির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ হামুদ বিন ফয়সাল আল বুসাইদি। তিনি বলেন, জোটের সব সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে একক ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেটি কার্যকর করা হবে ২০২৪-২৫ সালে। এরমাধ্যমে এ ছয়টি দেশের নাগরিকদের এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার সুযোগ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, একক গালফ ট্যুরিস্ট ভিসা এমন একটি প্রজেক্ট যেটি জিসিসি জোটের ছয়টি দেশের নাগরিকদের চলাচল সহজতর ও ত্বরান্বিত করবে। এছাড়া ট্রাফিক এবং মাদক চোরচালান বন্ধেও জিসিসিভুক্ত দেশগুলো কাজ করছে। নীতি নির্ধারকেরা আশা করছেন, এই সিদ্ধান্ত ছয় দেশের অর্থনীতি ও পর্যটন খাতের বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে জিসিসির মহাসচিব জাসিম মুহাম্মদ আল-বাদাওয়ি বলেন, এই এক টুরিস্ট ভিসা জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত করল।
উল্লেখ্য, ইউরোপের শেনচেন ভিসা বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ পেলেও; মধ্যপ্রাচ্যের এ একক ভিসা শুধুমাত্র ছয়টি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এছাড়া এটির সুবিধা শুধুমাত্র ওই ছয় দেশের স্থায়ী নাগরিকরাই ভোগ করতে পারবেন।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক আল মারি ঘোষণা দেন, আগামী ২০২৪ সালের মধ্যেই সমন্বিত ভিসা সিস্টেম চালু হয়ে যাবে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ করতেই এই ভিসার ঘোষণা এল।
Discussion about this post