কোরবানির চামড়া সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কোরবানির পশুর চামড়া দ্বারা উপকৃত হও; তবে বিক্রি করে দিয়ো না।’
আলি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে তাঁর কোরবানির পশুর দেখাশোনার নির্দেশ দিয়েছেন। পশুর গোশত, চামড়া ও ওপরে থাকা চাদর সদকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলোর কোনো কিছু কসাইকে দিতে নিষেধ করেছেন।’ (মুসলিম, হাদিস নম্বর : ২৪০৭)
এ থেকে বোঝা যায়, যে ব্যক্তি কোরবানি করবে, সে কোরবানির চামড়া বা গোশত বিক্রি করে তার মূল্য নিজের কাজেও লাগাতে পারবে না এবং চামড়া ও গোশত দিয়ে কসাইয়ের মজুরিও দিতে পারবে না। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩০১)
ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির চামড়া দান করা উত্তম। তবে কোরবানিদাতা চামড়া ব্যবহার করতে চাইলে তা পারবে। তাতে কোনো নিষেধ নাই।
আর যদি দান করতে চায় বা বিক্রি করে দেয়, তবে তা গরিব, ইয়াতিম, অসহায়দের দিতে হবে। কোরবানি দাতা নিজে চামড়ার মূল্য খরচ করতে পারবেন না। (ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৫৪)
কোরবানির চামড়াকে চামড়ার আকারে রেখে প্রক্রিয়াজাত করে কোরবানিদাতা তা ব্যবহার করতে পারবে। ইচ্ছা করলে প্রিয়জনকে তা উপহার হিসেবেও দিতে পারবে। আবার ইচ্ছা করলে তা সাদকাও করতে পারবে।
যারা জাকাত ও ফিতরা পাওয়ার উপযুক্ত, শুধু তারাই কোরবানির চামড়ার অর্থ পাওয়ার হকদার। এ ক্ষেত্রে ইয়াতিম ও দরিদ্র তালিবে ইলম তথা ইলমে দ্বিনের দারিদ্র্য শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া যাবে। ইলমে দ্বিনের দারিদ্র্য শিক্ষার্থীকে জাকাত, ফিতরা ও কুরবানির চামড়ার মূল্য প্রদানে বেশি সওয়াব আছে।
এ এ/
Discussion about this post